মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ স্থাপন করতে দুই মাস সময়

মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ স্থাপন করতে দুই মাস সময়
দেশের সব কলকারখানায় দুই মাসের মধ্যে মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ স্থাপন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশ প্রতিপালন বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে শ্রমসচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন।
এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সরকার নিয়ন্ত্রিত বিপণিবিতান, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ বা শিশু কক্ষ স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বড় বিপণিবিতানে মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ বা শিশু কক্ষ স্থাপনে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সব কলকারখানায় মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ বা শিশু কক্ষ স্থাপন করতে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট। কক্সবাজার বিমানবন্দরে মায়ের বুকের দুধ খেতে না পারা ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী ও শিশুসন্তানকে দুধ খাওয়াতে না পারা মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের করা এক রিট আবেদনে এ রুল জারি করেন আদালত।
গতকাল আদেশের পর ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬-এর শিশু কক্ষ সংক্রান্ত ৯৪(৭) ধারায় বলা হয়েছে, ‘উক্তরূপ কোন কক্ষ যথেষ্ট আসবাবপত্র দ্বারা সজ্জিত থাকিবে এবং বিশেষ করিয়া প্রত্যেক শিশুর জন্য বিছানাসহ একটি খাট বা দোলনা থাকিবে, এবং প্রত্যেক মা যখন শিশুকে দুধ পান করাইবেন বা পরিচর্যা করিবেন, তখন তাহার ব্যবহারের জন্য অন্তত একটি চেয়ার বা এই প্রকারের কোন আসন থাকিতে হইবে, এবং তুলনামূলকভাবে বয়স্ক শিশুদের জন্য যথেষ্ট ও উপযুক্ত খেলনার সরবরাহ থাকিতে হইবে।’ সরকার ২০০৬ সালে এ আইন করলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি। তাই বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছি। আদালত আদেশ দিয়েছেন।

Post a Comment

0 Comments